প্রকাশিত: Sun, Apr 30, 2023 4:17 AM আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 7:11 PM
ক্যাবের নাগরিক সভায় বক্তারা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি একটি অসভ্য আইন
মনজুর এ আজিজ: ইনডেমনিটি (বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ আইন) একটি অসভ্য আইন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি থাকতে পারে না। অপরাধ করলেও বিচার করা যাবে না, এরকম আইন কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত জ্বালানি সংকট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন শীর্ষক নাগরিক সভায় এমন মতামত উঠে এসেছে। এ অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতের উন্নয়নে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এখন বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বাড়লেও আমরা তা ব্যবহার করতে পারছি না। আর এমন আইন রয়েছে, তাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। ইনডেমনিটি একটি ঘৃণিত শব্দ আমাদের রাজনীতিতে। অথচ ২০২২ সালে এসে আবারও সংশোধিত করে নবায়ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ খাতের বিশেষ এ আইনটি। তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে বিগত সরকারের মতোই লুণ্ঠনবৃত্তি অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. শামসুল আলম বলেন, উইন্ড ম্যাপিং অনুযায়ী বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুতের উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ৩০ হাজার মেগাওয়াট। ভারতে এখন বায়ু ও সৌর বিদ্যুতের মূল্যহার কমবেশি ৩ রুপি। ভারত তার পরিকল্পনায় বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর বিদ্যুতের মূল্যহার ১.৯ থেকে ২.৬ রুপিতে নেমে আসবে। আর বায়ু বিদ্যুৎ ২.৩ থেকে ২.৬ রুপিতে পাওয়া যাবে। সেখানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌর বিদ্যুৎ ৯.৯৯ টাকা আর বায়ু বিদ্যুতের চুক্তি করেছে ১৩.২০ টাকায়।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বছরে ৭ শতাংশ হারে সরবরাহ বৃদ্ধি করা হলেও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে ১২ শতাংশ। এতে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ জনগণকে না দিয়ে বরং বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। গ্যাস বন্টনে সরকারি খাত বৈষম্যের শিকার। দেশীয় কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কেনা হচ্ছে ১.০৩ টাকায়, আর সমপরিমাণ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে ৮৩ টাকা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, বিদেশি গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস তাদের এক সার্ভে রিপোর্টে বলেছে, বাংলাদেশে আরও ৩২ টিসিএফ গ্যাস অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে বছরে ১ টিসিএফ গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। সে হিসেবে আরও ৩২ বছরের গ্যাস মজুদ আছে। তিনি বলেন, সরকার ২ বছরে ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে, এটি ভাল তবে আগের ১০৫টি কূপ খনন প্রকল্পের মতো হারিয়ে যেন না যায়।
অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরনে জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুন্ন রেখে চুক্তি হতে হবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
